ALU Chas ki bhabhi korbo

Question

Anurag Gupta · Answer

আলু চাষ করার জন্য সঠিক পদ্ধতি এবং যত্ন নেওয়া প্রয়োজন যাতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এখানে আলু চাষের ধাপসমূহ দেওয়া হল:

1. মাটি প্রস্তুতি:
আলু চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো, যেখানে পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকে।
মাটির পিএইচ মান 5.5 থেকে 6.5 এর মধ্যে থাকা উচিত।
জমি চাষ করার আগে গভীর চাষ দিয়ে মাটি উলটে দিতে হবে এবং মাটি ঝুরঝুরে করে নেওয়া উচিত।

2. সঠিক জাত নির্বাচন:
স্থানীয় জলবায়ু এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলুর জাত নির্বাচন করতে হবে। কিছু জনপ্রিয় জাত হলো কুফ্রি জ্যোতি, কুফ্রি চন্দ্রমুখী, ইত্যাদি।

3. বীজ আলু প্রস্তুতি:
ভালো মানের রোগমুক্ত বীজ আলু ব্যবহার করুন।
বীজ আলু 30-50 গ্রাম ওজনের হওয়া উচিত। বড় আলুগুলোকে 2-3 অংশে কেটে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিটি অংশে অন্তত একটি করে অঙ্কুর থাকা উচিত।

4. রোপণ পদ্ধতি:
আলুর গাছের সারি থেকে সারির দূরত্ব 45-60 সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব 15-20 সেমি রাখা উচিত।
আলুগুলো 5-10 সেমি গভীরে রোপণ করতে হবে।

5. সার ও সেচ:
প্রাথমিক পর্যায়ে জৈব সার যেমন গোবরের সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাসায়নিক সারের জন্য NPK (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ) সঠিক অনুপাতে প্রয়োগ করতে হবে।
আলু রোপণের পর মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সেচ দিন, তবে অতিরিক্ত পানি 
দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

6. পরিচর্যা:
আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
প্রয়োজন মতো মাটি তুলে আলুর গোড়ার চারপাশে জমা করতে হবে (মাউন্ডিং) যাতে আলুগুলি সূর্যালোকে এক্সপোজড না হয়।

7. রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ:
আলুর চাষে ব্লাইট রোগ বেশি দেখা যায়, তাই নির্দিষ্ট ছত্রাকনাশক যেমন ম্যানকোজেব বা মেটালাক্সিল স্প্রে করতে পারেন।
পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করুন।

8. ফসল তোলা:
রোপণের 90-120 দিনের মধ্যে আলু ফসল তোলার উপযুক্ত হয়।
আলুর গাছের পাতা যখন হলদে হতে শুরু করবে, তখন ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত হবে।
এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে ভালো মানের আলু উৎপাদন সম্ভব।