আমার ১ বিঘা জমি তে আলু চাষ করব ।। কি কি জুরা দেবো ।। আর কত পরিমাণ a দোবো

Question

Anshu Sharma · Accepted Answer

নমস্কার, আলু একটি উচ্চ সার খাওয়া ফসল। এটি মাটির উপরের স্তর থেকে খাদ্য গ্রহণ করে। তাই এটি প্রচুর পরিমাণে জৈবিক এবং রাসায়নিক সার প্রয়োজন।

এতে পচা গোবরের সার ২০০ কুইন্টাল এবং ৫ কুইন্টাল খল्ली প্রতি একর হিসেবে দেয়া হয়। খল্লিতে আলিঙ্গি, সরষে, নিম এবং করঞ্জ যা সহজে পাওয়া যায় তার ব্যবহার করা উচিত। এর মাধ্যমে মাটির উর্বরতা শক্তি সবসময় বজায় থাকে এবং রাসায়নিক সারগুলি যথাযথ সময়ে গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদান করা হয়।

রাসায়নিক সারের মধ্যে ১৫০ কিলোগ্রাম নাইট্রোজেন এবং ৩৩০ কিলোগ্রাম ইউরিয়া প্রতি একর হিসেবে দেয়া হয়। ইউরিয়ার অর্ধেক পরিমাণ, অর্থাৎ ১৬৫ কিলোগ্রাম, রোপণ করার সময় এবং বাকি ১৬৫ কিলোগ্রাম রোপণের ৩০ দিন পরে মাটিতে দেয়া হয়। ৯০ কিলোগ্রাম ফসফরাস এবং ১০০ কিলোগ্রাম পটাশ প্রতি একর হিসেবে দেয়া হয়। ফসফরাসের জন্য ডি.এ.পি. বা সিঙ্গল সুপার ফসফেট, এই দুটি সারের একটিই ব্যবহার করা উচিত। ডি.এ.পি. এর পরিমাণ ২০০ কিলোগ্রাম প্রতি একর এবং সিঙ্গল সুপার ফসফেটের পরিমাণ ৫৬০ কিলোগ্রাম প্রতি একর এবং পটাশের জন্য ১৭০ কিলোগ্রাম মিউরিয়েট অফ পটাশ প্রতি একর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সব সার একসাথে মিশিয়ে জুলাই মাসের প্রথম দিকে জমিতে ছিটিয়ে, চাষ করার পরে পাটা দিয়ে মাটির মধ্যে মিশিয়ে দেয়া হয়।

রোপণের সময় আলুর সারি মধ্যে সার দেওয়া বেশি লাভজনক, তবে খেয়াল রাখতে হবে যে সার এবং আলুর কন্দের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না হয়, নাহলে কন্দ পচে যেতে পারে। তাই হুইল বা লহসুনিয়া হল দিয়ে নালা তৈরি করে সেই নালাতে সার দিন। সার নালার সাথে ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার দূরত্বে দ্বিতীয় নালাতে আলুর কন্দ রাখুন।

যদি পটেটো প্ল্যান্টার উপলব্ধ থাকে, তবে তার অনুযায়ী সার ব্যবহারে পরিবর্তন করা যেতে পারে।